মানহানির মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তিন মাসেরও বেশি সময় পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। রোববার রাত ৯টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি ১৪টি মামলায় জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। আর আজ (রোববার) বিকেলে জামিনের আদেশ-সংক্রান্ত আদালতের কাগজপত্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে।
তিনি বলেন, আদালতের কাগজপত্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছার পর তার জামিনে মুক্তি পেতে বাধা দূর হয়। আনুষ্ঠানিক কার্যাদি সম্পন্ন শেষে রাত ৯টার দিকে মইনুল হোসেনকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। গত কয়েক দিন ধরে তিনি কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। যে কারণে তিনি কারা হেফাজতেই বিএসএমএমইউ থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান। গত বছরের ১৬ অক্টোবর বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরে টকশোতে লাইভে যুক্ত হলে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি তাকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা?’
মইনুল হোসেন এ প্রশ্ন শুনে উত্তেজিত হন এবং বলেন ‘এমন প্রশ্ন করায় আপনাকে আমি চরিত্রহীন বলে মনে করছি।’ তার এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। এরপর রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে মামলা হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।