দ্বিতীয় মেয়াদেও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতে চান আবু বকর

নিজস্ব প্রতিবেদক
উত্তম গোলদার
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৫শে জানুয়ারী ২০১৯ ০২:১০ অপরাহ্ন
দ্বিতীয় মেয়াদেও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতে চান আবু বকর

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসিবে নির্বাচিত হয়ে পটুয়াখালীর মিজাগঞ্জে দ্বিতীয় মেয়াদেও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে চান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী। গত ২০১৪ সালে মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলের সমর্থন নিতে হয়েছে প্রার্থীদের। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ হারুন-অর-রশিদকে মির্জাগঞ্জে দলীয় ভাবে মনোনয়ন দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বিপুল ভোটে জয়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উপজেলা ৬টি ইউনিয়নে ও ৯১ হাজারেরও অধিক ভোটার নিয়ে গঠিত এ উপজেলা।

উপজেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারি সহযোগীতায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কার্যক্রম বাস্তবায়নসহ গরীব অসহায় মানুষের কল্যানে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তাই এবারের উপজেলা নির্বাচনে তাকে দলীয় ভাবে মনোনয়ন দেয়ার দাবী জানান তারা। উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ঢাকাস্থ সেগুন বাগিচা কেন্দ্রীয় কচিকাঁচা মিলনায়তনে গত ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিকালে ঢাকাস্থ জয়বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে‘আমারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী,আমারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলি শীর্ষক’আলোচনা ও গুনীজন সম্মামনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মামনা দেওয়া হয় মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকীকে।

বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড,উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে জনগনকে সেবা প্রদানসহ অন্য কার্যবলি সফলতার সঙ্গে পরিচালনায় বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রার্থীতা সম্পর্কে খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আর্দশের একজন কর্মী হয়ে উপজেলা চেয়াম্যান হিসেবে চেষ্টা করেছি মানুষের সহযোগিতা করতে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে এ উপজেলার মানুষ আমাকে বিপুল ভোট জয়ী করেছেন। তাই এ নির্বাচনে উপজেলার জন্য একজন শক্ত নৌকার মাঝি হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমাকে মনোনয়ন পাবার আশা করছি। যদি এ জনপদের কল্যানে আমার ভূমিকা থাকে অবশ্যই মানুষ আমাকে সাদরে গ্রহন করবে এ আমার বিশ্বাস। তবে আমার অবস্থান অত্যান্ত পরিস্কার, মাদক, চোরাকারবারী, সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আমি অতীতে ছিলাম না, ভবিষ্যতেও পিছু হটবো না। তিনি আরো বলেন,গত ৫ বছরে পটুয়াখালী-১ আসনে জাতীয় পার্টির এমপি থাকার পরও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মির্জাগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। চেয়ারম্যান হিসেনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরনসহ দক্ষিনাঞ্চালের মধ্যে গুরুত্বপূর্ন বরগুনা-চান্দখালী-সুবিদখালী-কাঠালতলী-বাকেরগঞ্জ মহাসড়কটির দুই লেনের কাজও শেষের পথে। এছাড়াও উপজেলায় চলমান কাজ নিয়ে প্রায় ৪শত কোটি টাকার কাজ হয়েছে মির্জাগঞ্জে।