কাপ্তাই সড়কের জায়গা দখল করে সিএনজি অটোরিক্সার অবৈধ স্টেশন ও বিভিন্ন দোকানের মালামাল সড়ক ঘেঁষে রেখে পথচারি ও যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছিল সড়কের রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন বাজার এলাকায়। কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে নিতে সংশ্লিস্ট ব্যক্তিদের বলা হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি তারা। বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল পাঁচটায় গোডাউন বাজারে কাপ্তাই সড়কের পাশের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা বিভিন্ন দোকানের সামনের অংশ ভেঙ্গে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ভোঁ দৌড় দেন বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। সড়কের ফুটপাত দখল করে রাখা দোকানের মালামাল সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ব্যবসায়িরা। মুহুর্তের মধ্যেই চির যানজটের স্টেশন রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন বাজার হয়ে যায় স্বাভাবিক স্টেশন। ফুটপাতের উপরে রাখা দোকানের মালামাল ও অস্থায়ী স্থাপনাও ভেঙ্গে দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) পূর্বিতা চাকমা ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন। রাঙ্গুনিয়া থানার দারোগা সুমন কুমার দে সহ একদল পুলিশ আদালতকে সহায়তা করেন। পথচারি নুর আহমদ বলেন, কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন বাজার স্টেশন পাড় হতে হলে নিয়মিত যানজটের কবলে পড়তে হয়। এখানে সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ দোকানগুলো পসরা সাজিয়ে বসেন ফুটপাথ দখল করে। সিএনজি ও লেগুনা ঠাঁই সড়কেই দাঁড়িয়ে থাকেন। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পর গোডাউন বাজার পরিস্কার হলেও এটা ধরে রাখা না গেলে পুনরায় দখল করবে। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সড়কের উপর
থেকে ১০টি দোকানের সম্মূখ ভাগ ভেঙ্গে ফেলা হয়। উচ্ছেদ করা হয় ফুটপাতের পসরা। এসময় কয়েকটি যানবাহন ও দোকান মালিক অজিত দে, আবদুস ছাত্তার, মোহাম্মদ হোসেন এর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। অন্যান্য দোকানদারদের একদিনের মধ্যে সড়কের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। অন্যতায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাপ্তাই সড়কসহ রাঙ্গুনিয়া জুড়ে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।