রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ গুরুতর আহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ২১শে জানুয়ারী ২০১৯ ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ গুরুতর আহত ৩

রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ভ্যানচালক সহ একই পরিবারের তিন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। রবিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড ব্রহ্মোত্তর গ্রামের খালীপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন এই এলাকার ভ্যানচালক শামসুল আলম (৫৫), তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৮) ও মেয়ে জেসমিন আক্তার (১৯)। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হামলার স্বীকার সামশুল আলমের ছোট ভাই আবদুল হামিদ। 
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ভ্যানচালক সামশুল আলমের সাথে তার প্রতিবেশি ফজল আহমদের পুত্র মো. মফিজের ভিটেবাড়ির সামান্য দশ ফুট জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য, পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিশী বৈঠকও হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় এই জায়গার বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মো. মফিজ তার পুত্র কামাল, হেলাল উদ্দিন সহ এলাকার আরো কয়েকজনের সহযোগীতায় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় সামশুল আলম, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে জেসমিন আক্তার গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। 

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রবিউল হোসেন বলেন, ‘আহতদের মধ্যে স্ত্রীর অবস্থা আশংকাজনক। তার মাথায় গুরুতর যখমের কারণে একাধিক সেলাই করা হয়েছে। এছাড়াও মফিজ ও তার মেয়ে জেসমিনের হাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।’ঘটনার সত্যত নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রহিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তাদের দুইপক্ষের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠকে সমাধান করা হয়েছিল। কিন্তু হামলাকারী প্রতিবারই বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। রবিবারও তারা সামান্য কথায় হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ভ্যানচালক সহ তার স্ত্রী-কন্যাকে আহত করেছে।’ হামলার বিষয়ে আহত ভ্যানচালক সামশুল আলমের ছোট ভাই আবদুল হামিদ বলেন, ‘হামলাকারীরা হামলার পর ঘরে প্রবেশ করে তাঁর ছেলের বিদেশ যাওয়ার জন্য রাখা দেড় লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায়। আমরা হামলার বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’হামলার বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঞা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব