ঘুমধুমে মালিকানাধীন বাগানের গাছ কেটে জায়গা দখলের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শ.ম.গফুর , উপজেলা প্রতিনিধি উখিয়া- কক্সবাজার
প্রকাশিত: সোমবার ২১শে জানুয়ারী ২০১৯ ০৪:২১ অপরাহ্ন
ঘুমধুমে মালিকানাধীন বাগানের গাছ কেটে জায়গা দখলের চেষ্টা

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ নং তুমব্রু মৌজায় সৃজিত মালিকানাধীন বাগানের গাছ কেটে জায়গা জবরদখলের অপচেষ্টা চালিয়েছে মর্মে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বান্দরবানের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছে বাগান মালিক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত নুর আহামদের ছেলে নুরুল আবছার। মামলায় ১১জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫০/৬০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। দায়ের করা পিটিশন সুত্রে জানা গেছে,মিটিউশন মোকাদ্দমা নং-১৪৬/ডি/না/৯৫ -এ জেলা প্রশাসকের ০৯/০৩/১৯৯৬ ইংরেজী তারিখের আদেশমুলে ক্রয়সুত্রে ২ একর প্রথম শ্রেনীর,২ একর দ্ধিতীয় শ্রেনীর জায়গায় সীমানা চৌহদ্দি চিহ্নিত করে বনায়ন সৃজন করত নুরুল আবছার। এতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল বজায় রেখে আছেন। অপর মিটিউশন মোকাদ্দমা নং-১১/৯৫-৯৬ -এ জেলা প্রশাসকের বিগত ০৫/০১/১৯৯৭ ইংরেজী তারিখের আদেশমুলে মোট ৪ একর ৭০ শতক জায়গায় দখলামল বজায় ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন তিনি।

উক্ত জায়গায় সৃজিত আকাশমনি বাগানে ১ জানুয়ারী সকাল ১১ টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ মৌজার তুমব্রু পশ্চিমকুল পাড়ার আবদুর রহিমের ছেলে শফিকুল ইসলাম,আনোয়ারুল ইসলাম, আলী আকবরের ছেলে রেজাউল করিম,মৃত পেঠান আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম, বিতির মিয়ার ছেলে জানে আলম, নুর আহমদের ছেলে নুরুন্নবী, তুমব্রু কোনার পাড়ার মৃত হাসু মিয়ার ছেলে আবদুল আজিজ, ঘুমধুম ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম পাড়ার মৃত দরবেশ আলীর ছেলে মোজাম্মেল, আজিজুল হক, কাদের বকসুর ছেলে সোলতান আহমদ ও মৃত ওয়ারেত আলীর ছেলে জাফর আলমের নেতৃত্বে আরো ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত একদলবদ্ধ লোকজন ধারালো দা, খুন্তি, করাত, কুড়াল নিয়ে বাগানে অনুপ্রবেশ করে নির্বিচারে গাছ কেটে বাগান শাবাড় করে এবং ভিটি স্থাপনা নির্মাণের  তলা সৃজন করে। ওইদিন বাগান থেকে কেটে নেওয়া গাছ ডাম্পার ভর্তি করে বিপুল পরিমাণ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে বাগান পাহারাদার নুরুল কবির বারণ করলে তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে উল্টো চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করাই বাগানের আংগিনার পোল্ট্রি খামারে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যায় জবর দখলকারীরা।

বড়-বড় গাছ দিনে কেটে রাত্রে নিয়ে গেলেও অবশিষ্ট গাছ দিয়ে বাগান সাবাড় করা জায়গায় অন্তত অর্ধশতাধিক ভিটি জায়গা তৈরী করে রেখেছে। এতে বাগান মালিকের প্রায় ৫ একর জায়গা জবর দখলের উদ্দ্যেশ্যে কয়েক সহস্রাধিক গাছ কেটে সাবাড় করায় অন্তত ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন নুরুল আবছার। এ ব্যাপারে বান্দরবান বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশকে। ২০ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো: রাজিব ঘটনাস্থলে তদন্ত করে বাগান থেকে কাটা বেশ গাছ জব্দ করেন আলামত হিসেবে। বাগানের গাছ কেটে সাবাড় অংশে অন্তত ৪০/৫০ টি ভিট জায়গা তৈরীর আলামত ছবি ধারণ করেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: রাজিব জানান,স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শী স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য নিয়েছি। কেটে ফেলা গাছের কিছু অংশ আলামত হিসেবে জব্দ করেছি, বাগানের কাটা অংশের জায়গায় থাকা কিছু প্রাথমিক স্থাপনার খন্ড অংশ ছবি করে নিয়েছি। এ ব্যাপারে প্রতিবেদন তৈরী করে আদালতে পাঠাবো।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব