কানাডা সরকার বাংলাদেশে অবস্থানরত ও ভ্রমণেচ্ছু নাগরিকদের জন্য উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটের ‘ভ্রমণ’ বিভাগে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা যেকোনো সময় বিক্ষোভ, সংঘর্ষ এবং হরতাল-অবরোধের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, যার আগাম সংকেত নাও পাওয়া যেতে পারে। ফলে কানাডার নাগরিকদের ভ্রমণের সময় বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা—রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান—নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব অঞ্চলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া ভ্রমণ করা ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে রাজনৈতিক সহিংসতা, জাতিগত সংঘাত, অপহরণ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানসহ বিভিন্ন ঝুঁকি বিদ্যমান।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেমন জাতীয় সংসদ ভবন, সচিবালয়, বায়তুল মোকাররম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মতিঝিল, নয়াপল্টন, শাহবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা ও কারওয়ান বাজারে বিশেষ সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নারীদের একা ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং রাতে গণপরিবহন ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা শহরের বাইরে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
কানাডা সরকার আরও বলেছে, সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান। ধর্মীয় উৎসব ও জনসমাগমে এ ঝুঁকি বাড়তে পারে। সাধারণ ধর্মঘট বা অবরোধ চলাকালেও বিদেশি নাগরিকদের ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, “২০২৪ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনায় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত, তবে যেকোনো সময় সহিংসতা আবার শুরু হতে পারে।”