প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩৮
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় আয়োজিত ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর দেশের ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত এই ঘোষণাপত্র পাঠ কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের উপস্থিতি ও তার কণ্ঠে ঘোষণাপত্র পাঠ দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতীকী বার্তা দেয়। গত বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে তৈরি এই ঘোষণাপত্র শুধু একটি দলিলই নয়, বরং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যের প্রতিফলন হিসেবে তুলে ধরা হয়।
বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যাতে রাজনৈতিক ও নাগরিক অংশগ্রহণের ঐক্যমতের ছাপ স্পষ্ট। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি এই ঐক্য ও সহমতকে দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করে। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী দিনের রাষ্ট্র কাঠামো, গণতান্ত্রিক চর্চা ও সাংবিধানিক সংস্কারের পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এই দলিল। এটি কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার একতা নয়, দেশের নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশারও প্রতিফলন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দীর্ঘদিন ধরে এই ঘোষণাপত্রের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে এবং তাদের পক্ষ থেকে এই দলিলকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবও এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি এই দলিলকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।
আয়োজনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলো শৃঙ্খলা ও একটি ঐতিহাসিক আবহ, যেখানে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক ও তরুণ প্রজন্ম দেশকে নতুন পথে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেছে, যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভিত্তি গড়ে তুলবে বলে অভিমত দেন বক্তারা।