আসামি হস্তান্তর নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে দুই থানার ওসির পাল্টাপাল্টি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আলমগীর হোসেন - ঠাকুরগাঁও সদর
প্রকাশিত: শনিবার ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
আসামি হস্তান্তর নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে দুই থানার ওসির পাল্টাপাল্টি দাবি

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ভূল্লী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার দাবি করছেন, তিনি আটক এক আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছেন। অথচ সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান বলছেন, তারা এমন কোনো আসামি গ্রহণ করেননি। এ নিয়ে পুলিশের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালনে জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে ভূল্লী থানার পুলিশ। ভূল্লী থানার ওসি শুক্রবার রাতে জানান, দুপুর ২টায় তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু শনিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান জানিয়ে দেন, ভূল্লী থানা তাদের কাছে কোনো আসামি হস্তান্তর করেনি। এমন কাউকে আটকও করা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরিফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আরিফ প্রশ্ন শুনেই উগ্র আচরণ করে ফোন কেটে দেন।  


এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে—তাহলে আসামি কোথায়? ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি দেখছেন। তবে দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি। তার এই নীরবতা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। গোপন সূত্রের দাবি, মোহাম্মদ আলীকে সদর থানায় নেওয়া হলেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও সদর থানায় এমন অভিযোগ উঠেছিল। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "অনেক দিন ধরেই শুনছি, টাকা দিলেই আসামি ছাড়া যায়। এর আগেও এমন এক ঘটনায় এক এএসআইকে বদলি করা হয়েছিল।"  


এ ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, পুলিশের এমন আচরণ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের আস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অন্যথায় পুলিশের ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।