মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক সম্প্রতি একটি আহ্বান জানিয়েছিলেন, যাতে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা স্বেচ্ছায় তাদের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুন্সিগঞ্জ এবং রাজবাড়ী জেলার দুই ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।
এই দুই ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছাড়া অন্য কোনো সুবিধা নেননি এবং তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, তারা লিখিতভাবে আবেদন করেছেন যে, তারা মুক্তিযোদ্ধা নন, তবুও ভাতা গ্রহণ করেছিলেন এবং এ জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এবং আশা করছে, ভবিষ্যতে আরও অনেকে নিজের ভুল স্বীকার করে এ ধরনের আবেদন করবেন। উপদেষ্টা ফারুক ই আজম গত ১১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধা নন, কিন্তু তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তারা যদি স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহার করেন, তবে তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হবে।
এক ব্যক্তি লিখিতভাবে উল্লেখ করেছেন, “আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে স্বেচ্ছায় গেজেট এবং সনদ বাতিল করার জন্য আবেদন করেছি এবং ভুলের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছি।” অপর ব্যক্তি বেসামরিক গেজেট এবং লাল মুক্তিবার্তা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগকে সবার জন্য উদাহরণ হিসেবে দেখতে চায় এবং যারা মুক্তিযোদ্ধা নন, তারা যেন স্বেচ্ছায় তাদের নাম প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক এ কথা বলেছিলেন যে, মুক্তিযোদ্ধা না হলেও যারা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তারা নিজের ভুল স্বীকার করলে, তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হবে। তিনি আরও জানান, যারা এই আবেদন করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।