আলট্রাসনোতে যমজ, সিজারে একটি সন্তান! থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ,উপজেলা প্রতিনিধি কালকিনি (মাদারীপুর)
প্রকাশিত: বুধবার ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:২৫ অপরাহ্ন
আলট্রাসনোতে যমজ, সিজারে একটি সন্তান! থানায় অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মজিদবাড়ি ভুরঘাটা নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে গর্ভবতী এক নারীর সিজারিয়ান অপারেশনের পর যমজ সন্তানের বদলে একটি সন্তান দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। ঘটনার পর হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


গতকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেছে, সিজারের আগে আলট্রাসনো রিপোর্টে যমজ সন্তান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, রোগীর স্বজনরা তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।


ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের ফয়সাল সরদার তার স্ত্রী আয়শা খানমকে প্রসব ব্যথার কারণে নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে ৭ ডিসেম্বরের একটি আলট্রাসনো রিপোর্ট দেখানো হয়, যেখানে যমজ সন্তানের কথা উল্লেখ ছিল। এরপর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএমএফ সাইফুল ইসলাম নতুন করে আলট্রাসনো করেন এবং যমজ সন্তান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


পরামর্শ অনুযায়ী রাতে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর আয়শা খানম ও তার স্বজনদের জানানো হয় যে, তার গর্ভে মাত্র একটি সন্তান ছিল। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নবজাতক চুরি করার অভিযোগ করেন।


ভুক্তভোগী আয়শা খানম বলেন, "সিজারের সময় আমি দেখতে পাই প্রথমে ডান পাশে একটি সন্তান রাখা হয়। কিছুক্ষণ পরে আরেকটি সন্তান ট্রেতে রাখা হচ্ছিল। আমি সেটি দেখতে গেলে আমার মাথা চেপে রাখা হয় এবং পরে জানানো হয়, কেবল একটি সন্তান হয়েছে। আমি আমার দুটি সন্তানই চাই।"

:

আয়শার স্বামী ফয়সাল সরদার বলেন, "সাতদিন আগের এবং সিজারের দিন উভয় আলট্রাসনোতেই দুটি সন্তানের কথা জানানো হয়েছিল। এখন একটি সন্তান দিয়ে বলা হচ্ছে, আর কিছু পাওয়া যায়নি। আমি আমার সন্তান ফিরে পেতে চাই।"


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, সিজারের সময় একটি সন্তানই পাওয়া গেছে। তারা দাবি করেন, রোগীর স্বজনরা তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।


এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, "রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি এবং প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"