সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান, চিকিৎসকদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাজিদ হিটলার, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:২৮ অপরাহ্ন
সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান, চিকিৎসকদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা সরকার কর্তৃক ৩০ হাজার টাকা ভাতার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাস থেকেই ৩৫ হাজার টাকার ভাতার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না করলে তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।


রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সংগঠন 'ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটি'র সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবী এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, সরকার তাদের সাথে আলোচনায় বসেছিল এবং জানানো হয়েছিল যে, অর্থ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার মতো টাকা নেই। তবে সরকার জুলাই মাস থেকে ৩৫ হাজার টাকার ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


ডা. নুরুন্নবী বলেন, ‘‘আমরা স্যারের কাছে স্থায়ী সমাধান চেয়েছিলাম, যেন বারবার রাস্তায় নামতে না হয়। কিন্তু সরকার জানুয়ারিতে ৩৫ হাজার টাকা ভাতা ঘোষণা না করলে আন্দোলন চলবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা জানুয়ারি থেকেই ৩৫ হাজার টাকার ভাতার দাবি জানাচ্ছি।’’


এর আগে বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আগামী জুলাই মাস থেকে ৩৫ হাজার টাকা ভাতা কার্যকর হবে এবং এখন ৩০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা সরকারী সিদ্ধান্ত মেনে কাজে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকদের মধ্যে বিভাজন দেখা দেয় এবং তারা আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।


ডা. নুরুন্নবী ও অন্যান্য চিকিৎসকরা জানান, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ৩০ হাজার টাকার ভাতা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তবে তা ডিসেম্বরে এসে কার্যকর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা আর কোনো আশ্বাসে সন্তুষ্ট হতে রাজি নন এবং তারা জানুয়ারি থেকেই ৩৫ হাজার টাকার দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।


এর আগে ২২ ডিসেম্বর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা তাদের দাবির বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন এবং ভাতা বৃদ্ধির জন্য সরকারকে চাপ দেন। সে সময় পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল সরকার।


এদিকে, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাছে তাদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলেও, চিকিৎসকদের মধ্যে চলমান চাপ এবং বিভাজনের কারণে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত উঠে এসেছে।