জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বেকারদের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০০ অপরাহ্ন
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বেকারদের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিবে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে বেকারত্ব দূরীকরণ ও যুবসমাজকে ব্যবসায়ে উদ্বুদ্ধ করতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনা জামানতে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। 


শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ব্যবসায়ী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 


ডা. তাহের বলেন, “দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জামায়াতে ইসলামী সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা অল্প সময়ের মধ্যে এশিয়ার সেরা ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই ব্যাংককে ধ্বংস করেছে এবং দেশের অন্যান্য ব্যাংকের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে জামায়াতে ইসলামী প্রস্তুত রয়েছে।"


তাহের আরও উল্লেখ করেন, “বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। ব্যবসায়ীদের দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি, বিশেষ করে আগামীর বাংলাদেশ গঠনে।”


সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, “একটি গতিশীল ব্যবসা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব প্রয়োজন। দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো মুক্ত করতে হবে। গত ১৬ বছরে দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ছিল না, বরং ভ্যাট ও ট্যাক্সের নামে ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হয়েছে।”


তিনি আরও যোগ করেন, "জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও সৎ ব্যক্তিরাই ব্যবসায়িক নেতৃত্বে আসবে।"


সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, “আগে বাংলাদেশের ব্যবসা ছিল কারুনের গোষ্ঠীর দখলে। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা হযরত ওসমান (রা.)-এর মতো সৎ ও আদর্শবান ব্যবসায়ী হবেন। জামায়াতে ইসলামী সুদমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ধারক ও বাহক।”


এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারাও দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।