থাইল্যান্ডে এক সেনা কর্মকর্তার এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহতের সংখ্যার বেড়ে ২০ জনে হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উত্তর-পূর্বে নাখন রাতচাসিমা শহর যা কিনা কোরাট নামে পরিচিত, সেখানে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাকরাফান্থ থোম্মা নামে সামরিক বাহিনীর ওই কর্মকর্তা প্রথমে তার কমান্ডিং অফিসারের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করে। পরে সামরিক ক্যাম্প থেকে বন্দুক ও বিস্ফোরক চুরি করে। এরপর ওই ব্যক্তি কোরাট শহরের একটি বৌদ্ধ মন্দির এবং একটি শপিং সেন্টারে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়।
প্রাথমিক হামলায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও ট্যাক্সি চালক রয়েছেন। তবে তাদের জাতীয়তা জানা যায়নি। আর যাদের জিম্মি করা হয়েছে তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি। তিনি বর্তমানে শপিং সেন্টারের বেসমেন্টে লুকিয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তাকে খুঁজে বের করতে পুরো শপিং সেন্টারটি চারিদিক থেকে কর্তৃপক্ষ ঘেরাও করে রেখেছে। এরইমধ্যে শপিং সেন্টারের কাছে গোলাগুলির দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। এই ঘটনার সময় ওই সেনাকর্মকর্তা ফেসবুকে লাইভ করে। তাছাড়া অস্ত্র হাতে সেলফিও তুলে। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দেয়। সন্ধ্যার ৭টা ২০ মিনিটে করা ওই পোস্টে লিখে, আমি খুব ক্লান্ত।
সেনাবাহিনীর সেকেন্ড কমান্ডার লে. জেনারেল থান্যা ক্রিয়াটিসরন বলেন, আক্রমণকারীর নাম জাকরাফান্থ থোম্মা। সুরথহামপিঠক ক্যাম্পের সিপিএল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে আটক করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।