জামালপুরের সরিষাবাড়িতে জমি ও গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আতাউর রহমান বিপুলকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার এক মাস পর প্রধান আসামি আসাদুজ্জামান আপেলকে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
গত ১৭ জানুয়ারি সরিষাবাড়ির পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি উত্তরপাড়া এলাকায় বিপুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর তার ভাই মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং এর আগে ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করে। সর্বশেষ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে আপেলকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিপুলকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ১০ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহতের পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে বিপুলকে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, সরিষাবাড়ির স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকেই প্রধান আসামি আপেল আত্মগোপনে ছিল। পুলিশ প্রযুক্তিগত নজরদারির মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার করে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিপুলের পরিবারের সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেই বিরোধ প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার পেছনের বিস্তারিত কারণ বের করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া মামলায় আরও কারও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।