সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জে হামলা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার ১৫ই জানুয়ারী ২০২৫ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জে হামলা মামলা

কিশোরগঞ্জের লতিবাবাদ এলাকার তহমুল ইসলাম (২৭) মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তহমুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন যে, ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জে ছাত্র জনতার ওপর হামলা চালানো হয়, যার জন্য এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। 


মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে, হামলায় অন্তত ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা লোকও জড়িত। এই মামলায় প্রথমবারের মতো সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়েছে এবং তাকে তিন নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 


জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর থানায় গত ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১১টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় ৪ হাজার জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তবে অজ্ঞাত আরও ১০ হাজারের বেশি লোকও আসামি হয়েছে। 


মামলার বাদী তহমুল ইসলাম মাজহারুল, যিনি বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচিত, অভিযোগ করেছেন যে, তিনি ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আহত হন এবং দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। 


এই মামলার বিষয়টি নিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


এছাড়া কিশোরগঞ্জের স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে, এই মামলার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে এবং তদন্তের ফলাফল কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিশোরগঞ্জের পুলিশ প্রশাসন মামলাটি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছেন। 


তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে কিশোরগঞ্জে একাধিক রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন মামলার দায়ের এ ঘটনায় একটি নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এই মামলার প্রতিবেদন এখনো সম্পূর্ণ হয়নি, তবে মামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। 


কিশোরগঞ্জের সাধারণ জনগণ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখতে হবে।