ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রেস্ট হাউজের ভাড়া বাবদ ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বকেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ১ হাজার ১৪ দিন ওই রেস্ট হাউজের কক্ষ ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সাত দিনের মধ্যে বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য তাকে চিঠি দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ড. আলমগীর ভূঁইয়া ক্যাম্পাসের রেস্ট হাউজের ৩০৩ নম্বর কক্ষটি দখলে রাখেন। এর মধ্যে ১২৪ দিন অনুমতি নিয়ে অতিথিদের জন্য কক্ষটি ব্যবহার করা হয়, যার ভাড়া পরিশোধিত হয়েছে। তবে বাকি ৮৯০ দিনের ভাড়া বাবদ ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক কোষাধ্যক্ষ অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং প্রতিহিংসামূলক বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয়তা রক্ষার্থে ভর্তি পরীক্ষা এবং অন্যান্য কাজে ১৮ দিন কক্ষটি ব্যবহার করা হয়েছে। বাকি সময়ের জন্য যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট প্রধান মো. আলাউদ্দিন বলেন, "সাবেক কোষাধ্যক্ষ ভিআইপি সুবিধা নিয়ে কক্ষটি ব্যবহার করেছেন। যদিও প্রাথমিকভাবে সাবেক প্রো ভিসি যুক্ত ছিলেন, পরে তিনি দখলে রাখেননি। সাবেক ভিসি এই প্রসঙ্গে যুক্ত নন, কারণ তিনি বাংলোতে থাকতেন।"
তদন্ত কমিটির সদস্য ও লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, “তদন্তের চিঠি পেয়েছি। কমিটি আলোচনা করে বিষয়টি যাচাই করবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, “গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য কক্ষ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। উপাচার্য স্যার নিজেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত বকেয়া আদায় করা হবে।”
ইনিউজ৭১।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।