মাদক নির্মূলে শুধু মাদক বাহকদের নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের চলমান যৌথ অভিযানকে আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং প্রতিদিনের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে রিপোর্ট করতে হবে। এই অভিযানের সাফল্যের ওপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় মাদক নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, "মাদক আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করছে এবং এর মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হচ্ছে। মাদক নির্মূলের জন্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে এবং আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।"
উপদেষ্টা আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ইউনিফর্ম থাকলেও তাদের কাছে কোনো অস্ত্র নেই, যা সফল অভিযানের পথে একটি বড় বাধা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের অস্ত্র প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
তিনি মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা পুনরায় উল্লেখ করেন এবং মাদক নির্মূলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা মাদক নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ এবং অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সম্পদ নিয়ে আলোচনা করেন।
মাদক নির্মূলে এই ধরনের যৌথ অভিযান এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে মাদকের মূল শিকড়, অর্থাৎ গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।