ঝালকাঠিতে চাঁদার জেরে রাজমিস্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. নাঈম হাসান ঈমন, জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: সোমবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:১৫ অপরাহ্ন
ঝালকাঠিতে চাঁদার জেরে রাজমিস্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

ঝালকাঠিতে চাঁদার জেরে রাজমিস্ত্রীকে হত্যা রাজাপুর উপজেলার দক্ষিণ সাউথপুর গ্রামে চাঁদা না দেওয়ায় আবুল বাশার নামে এক রাজমিস্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আবুল বাশার মুক্তিযোদ্ধা তানজের আলী চৌকিদারের ছেলে।  


প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের বরাতে জানা যায়, স্থানীয় নাজমুল হাসান কয়েকদিন ধরে বাশারের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় চায়ের দোকান থেকে বের হলে নাজমুল মোটরসাইকেলযোগে এসে টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় বাশার দৌড়ে চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।  


রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তমাল হালদার জানান, নিহতের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। বিশেষ করে ডান হাত, বাম কাঁধ, পেট ও বুকে গুরুতর জখম হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  


এ ঘটনার পরপরই পুলিশ হাসপাতালে এসে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


এ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের স্বজনরা অভিযুক্ত নাজমুলের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, আসামিকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।  


স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি এলাকায় চাঁদাবাজি বেড়ে গেছে এবং সন্ত্রাসীরা দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকলে এ ধরনের অপরাধ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।  


এদিকে, হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং দ্রুত আসামিকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।