বিশ্ববিদ্যালয়ের মিড টার্ম প্রশ্নে শেখ হাসিনার বিতর্কিত মন্তব্য !

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৯শে আগস্ট ২০২৪ ০৯:৩০ অপরাহ্ন
বিশ্ববিদ্যালয়ের মিড টার্ম প্রশ্নে শেখ হাসিনার বিতর্কিত মন্তব্য !

মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের নাতিপুতি নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিতর্কিত উক্তিটি এবার ঠাঁই পেল বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের মিড টার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে। ২৮ আগষ্ট করা বাংলা বিভাগের ভাষাবিজ্ঞান কোর্সের প্রশ্নপত্রে বলা হয়, স্বরতরঙ্গ (ইনটোনেশন) বলতে কী বুঝ? মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-পুতিরা কেউ মেধাবী না? যত রাজাকারের বাচ্চা, নাতি-পুতিরা মেধাবী?’ উক্ত বাক্যটির বাক্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বরতরঙ্গের সাধারণ, উচু ও নিচু তিন অবস্থান বর্ণনা করে বুঝিয়ে দাও। প্রশ্নপত্রটি এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে পোস্ট করলে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে সারাদেশে ছড়িয়ে পরে। তবে বিষয়টি ইতিবাচক বলে অনেকেই মন্তব্য করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র এমন সৃজনশীলই হওয়া উচিত। 


কোর্সটির শিক্ষক বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার জানিয়েছেন, স্বরতরঙ্গে সাধারণত বাক্যে কোন শব্দের ওপরে জোর প্রয়োগ করতে এমন শব্দের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন, এখানে রাজাকার শব্দটির ওপরে জোর প্রয়োগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে বাস্তবিক উদাহরণে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবে, বাস্তব যে কোন বিষয়কে স্বরতরঙ্গের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করতে পারবে সেই জায়গা থেকেই প্রশ্নে উক্তিটির উল্লেখ করা হয়েছে।


এদিকেপ্রশ্নপত্রটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুকে প্রশ্নটি শেয়ার করে মোহাম্মদ ইমাম লিখেছেন, “এই প্রশ্নে মুক্তিযোদ্ধার নাতি পুতি যারা এক্সাম দিয়েছে তাদের অবস্থাটা একবার চিন্তা করেন।” রেশমা ইসলাম আরশি নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, “ভালো প্রশ্ন, ২০২৪ সালে এসে এমন বাস্তবধর্মী উদাহরণেই প্রশ্ন হওয়া উচিত।”


বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ আলম বলেন, বাক্যটি স্বরতরঙ্গ বিষয়ের বাস্তবিক একটা উদাহরণ। এমন বাস্তব উদাহরণের সাহায্যে স্বরতরঙ্গের বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা নতুন করে ভাবতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয় তো নতুন নতুন জ্ঞান, আহরণ, সৃজন, বিতরণের স্থান। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে যাতে শিক্ষার্থীদের চিন্তার জগৎ বৃদ্ধি পায়।


প্রসঙ্গত: গত ১৪ জুলাই  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উক্তিটি করলে সেটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সারাদেশের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।