বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় দেশনাটক দলের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটক প্রদর্শনী বিক্ষোভের মুখে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। বিক্ষোভের কারণে নাটকটির প্রদর্শনী চলাকালীন দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি নাটক বন্ধের নির্দেশ দেন।
এদিন, কিছু উত্তেজিত জনতা নাট্যশালার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের দাবি ছিল, নাটকটি বন্ধ করতে হবে। মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ জানান, বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। তিনি বলেন, “যদি তারা আগুন ধরিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে নাটক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।”
নাটক বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল বিকেল থেকেই, যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা নাট্যশালার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীদের একজন প্রশ্ন করেন, “এভাবে কারও কথা বলার অধিকার বন্ধ করা যাবে কী?”
জানা গেছে, দেশনাটকের সিনিয়র সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনবিরোধী পোস্ট দেওয়ার কারণে এই প্রতিবাদ শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা ২০-২৫ জনের একটি দল গেটের বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে এবং তাদের এক দফা দাবি ছিল বাবুর পদত্যাগ।
এই ঘটনায় শিল্পকলার মহাপরিচালক পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নাটক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনা নাট্যশিল্পের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এটি সৃষ্টিশীলতা ও ব্যক্তিগত মতামতের স্বাধীনতার প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।