একেবারে খেলার অন্তিমলগ্নে পেনাল্টি দেন রেফারি। ফলে গোল হজম করতে হয় প্যারিস সেন্ট জার্মেইনকে (পিএসজি)। দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ৩-১ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যায় পিএসজি। ৯৪ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের পেনাল্টি গোলে নেইমার,কাভানি,এম্বাপেদের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। ম্যানইউর কাছে এমন হার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি দলের বাইরে থাকা পিএসজি তারকা খেলোয়াড় নেইমার। গত মাসে চোট পেয়ে প্রায় আড়াই মাস ধরে মাঠের বাইরে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। তবে হাইভোল্টেজ ম্যাচে পার্ক দেস প্রিন্সেসে উপস্থিত ছিলেন তিনি। যোগ করা সময়ে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তায় নেয়া ফিল্ড রেফারির পেনাল্টি সিদ্ধান্ত স্বচক্ষে অবলোকন করেছেন তিনি। সিদ্ধান্তটি দারুণ দৃষ্টিকটু লেগেছে তার কাছে।নেইমারের মতে সেটি নাকি ছিল ভুল।
ইনজুরি টাইমে দিয়েগো দালোতের শট ডি-বক্সে পিএসজি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বের হাতে লেগে বাইরে চলে যায়। প্রথমে কর্নারের বাঁশি বাজান রেফারি। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন। পরে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন নেইমার। সেই হ্যান্ডবলের ছবির স্ক্রিনশট পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড লেখেন, এটা লজ্জার! উয়েফা ভিএআরে সিদ্ধান্ত নিতে এমন চারজনকে রাখল, যারা ফুটবল সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ওই হ্যান্ডবলটা হয়নি। পেছনে হাত থাকলে কী করে হ্যান্ডবল হয়? প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। ম্যানইউর মাঠে প্রথম লেগে ২-০ গোলে জয় পায় পিএসজি। পেনাল্টি না হলে কোয়ার্টার ফাইনালে যেত নেইমারের দল। উল্টো টানা তিনবার ইউরোপসেরা লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হলো তাদের।দলের এমন অবস্থায় নেইমারের মাথা ঠিক থাকে কীভাবে! স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। মুখ খারাপ করে সরাসরি উয়েফাকে ‘গালিগালাজ’ শুরু করেন। বিষয়টি নজর এড়ায়নি ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থারও।যার ফলে তাকে এখন শাস্তি দেয়ার কথা ভাবছে সংস্থাটি।
উয়েফার আইন অনুযায়ী ১১ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন নেইমার। ফলে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে এক থেকে তিন ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। নেইমার শাস্তি পাচ্ছেন না কি পাচ্ছেন না,তা জানা যাবে ২৮ মার্চ। সেই দিন উয়েফার কর্তাব্যক্তিরা বৈঠকে বসবেন।আর সেখানেই নেইমারের শাস্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এর আগে এ ধরনের কাণ্ডে শাস্তি পান লিভারপুলের ক্রোয়াট ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেন। উয়েফা নেশনস লিগে ক্রোয়েশিয়া-স্পেন ম্যাচের পর স্প্যানিশ অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে উল্টোপাল্টা কথা বলেন তিনি। যার কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে হয় তাকে। এখন দেখার বিষয় হলো নেইমারকেও কী লভরেনের মতো শাস্তি ভোগ করতে হয় কি না।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।