ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফুটবল খেলায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামে মালেক মিয়া ও ইউসুফ মিয়ার পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ১০-১৫ জন ছেলে ফুটবল খেলছিল। খেলার সময় বল পার্শ্ববর্তী মসজিদের অজুখানায় পড়ে একটি পানির ট্যাপ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় ইউসুফ ক্ষুব্ধ হয়ে মালেকের ভাগিনাকে ধমক দেন এবং তাকে চড় মারেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

একপর্যায়ে মালেকের লোকজন ঘটনাস্থলে এলে ইউসুফের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার হয়, যা এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং গুরুতর আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ খাইরুল আলম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় পূর্বের কিছু বিরোধের জের ধরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তারা এমন সহিংসতা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

এই ঘটনায় চাপরতলা গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।