বাংলাদেশকে ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা: ডোনাল্ড ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:০৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশকে ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা: ডোনাল্ড ট্রাম্প

বাংলাদেশকে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়া নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। তার দাবি, এই অর্থটি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণের জন্য একটি অজ্ঞাত সংস্থার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। তবে, তিনি উল্লেখ করেন, এই সংস্থার নাম কেউ কখনো শোনেনি এবং এখানে শুধুমাত্র দুজন কর্মী আছেন।  


ট্রাম্প ২১ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বলেন, "আপনারা ভাবতে পারেন? আমাদের দেশ থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে একটি ছোট সংস্থা, যেখানে মাত্র দুজন কর্মী কাজ করেন। আমি মনে করি তারা খুবই খুশি, তারা ধনী হয়ে উঠেছে। কিছুদিন পর তাদের ছবি বড় ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হবে।" তিনি প্রশ্ন তোলেন, "বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণের অর্থ কী?"  


এই মন্তব্যের পর, বাংলাদেশের কোন সংস্থা এই সহায়তা পেয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দপ্তর, ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ১৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দেয় যে, বাংলাদেশের জন্য ইউএসএইডের সহায়তা বাতিল করা হয়েছে, তবে এর সাথে সম্পর্কিত সংস্থাগুলোর নাম জানানো হয়নি।  


এদিকে, ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, ভারতে ভোটদানে উৎসাহিত করতে ২১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে ২১ মিলিয়ন ডলার গেছে, যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসেন। আমাদের দেশের জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি ভোটারদের উপস্থিতি চাই।"  


ভারতের জন্য সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও বিতর্ক চলছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ভারত নির্বাচনের জন্য কোনও সহায়তা পায়নি। তারা জানায়, ২০২২ সালে বাংলাদেশকে ২১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, যা ইউএসএইডের মাধ্যমে 'আমার ভোট আমার' এবং 'নাগরিক প্রকল্প' হিসেবে বিতরণ করা হয়।  


এদিকে, বাংলাদেশের জন্য সহায়তা প্রদান এবং এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর, সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তার প্রকৃত লক্ষ্য কী, তা স্পষ্ট নয়।  


উল্লেখযোগ্য যে, ট্রাম্পের মন্তব্যের পর থেকে বাংলাদেশে এই ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অর্থের ব্যবহার কতটা কার্যকরী হতে পারে, তা নির্ভর করবে এটি কোন কার্যক্রমের জন্য খরচ করা হয় তার উপর।  


এছাড়া, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য কার্যক্রম নিয়ে একটি বিতর্কিত দিক উঠে এসেছে। রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণের বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হলেও, এটি বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।  


এখনো পর্যন্ত কোন সংস্থা এই অর্থ সহায়তা পেয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণের জন্য এই ধরনের সহায়তা একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হতে পারে।  


এভাবে, ট্রাম্পের মন্তব্য এবং সহায়তা বিতরণ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিকে প্রভাব ফেলতে পারে।