অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন খবরে প্রশাসনের লোকজন বিয়েবাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায় কনের আসনে যিনি বসে আছেন তাকে দেখে মোটেই অপ্রাপ্তবয়স্ক মনে হচ্ছে না।
নাটোরের গুরুদাসপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান এমন পরিস্থিতির মুখেই পড়েন। কিন্তু প্রশাসনের কাছে খবর ছিল কনে ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাহলে গণ্ডগোল কোথায়? এরপর একটু অনুসন্ধানেই মূল ঘটনা ধরতে পারে প্রশাসনের লোকজন।
মূল ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য কনেপক্ষের লোকজন আগেই কনের পাশাপাশি তার ভাবীকে সাজিয়ে রেখেছিল। প্রশাসনের গাড়ি দেখে কনের বদলে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল কনের ভাবিকে। তবে প্রশাসনের গাড়ি দেখে বিয়ের কাজিও সে সময় দৌড়ে পালিয়ে যান। এর আগেই অবশ্য বিয়ে বাড়ির উভয় পক্ষের খাওয়া-দাওয়াও শেষ করা হয়। বাকি ছিল শুধু বিয়ে পড়ানোর আনুষ্ঠানিকতা।
ফলে কনেপক্ষের লোকজনের নাটকও ধরা পড়ে যায়। এরপর কনের ভাবি ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে। পরে বাল্যবিয়ের চেষ্টার জন্য কনের ভাইকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীকে বিয়ে দেয়া হবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।