দিনাজপুরের সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল আমলী আদালত হাকিমপুরের নির্দেশে চার মাস আঠারো দিন পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আগুনে পুড়ে নিহত মুনতাসীর ফাইমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে তার কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাকিমপুর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, পাঁচবিবি থানা পুলিশের সদস্য এবং সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি। কবর থেকে উত্তোলিত মরদেহ ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য জয়পুরহাট জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুনতাসীর ফাইম (১৯) ছিলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মালেক মন্ডলের ছেলে। গত ৫ আগস্ট হাকিমপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আগুনে পুড়ে ফাইম ও হাকিমপুর থানার আরেক শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান সূর্যের লাশ হিলি পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিল হোসেন চলন্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
সেসময় পুলিশের কর্মবিরতি চলায় কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দুটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে, গত ২২ অক্টোবর ফাইমের বাবা দিনাজপুর সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল আমলী আদালতে সাবেক মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৯০-১০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত প্রয়োজন ছিল। আদালতের নির্দেশে আজ মরদেহ উত্তোলন করে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তদন্তের গতি বাড়ানো হবে।
হত্যা মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং ঘটনার পেছনের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফাইমের পরিবারের দাবি, তাদের সন্তানের মৃত্যু বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।