২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে এক পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে, যার সদস্যরা বিভিন্ন দিক থেকে এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত অনুসন্ধান করবেন। তদন্ত কমিশনটি গঠন করার বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা ২২ ডিসেম্বর রাতে সই করেছেন। এর মাধ্যমে সরকার বিদ্রোহের নেপথ্যে থাকা প্রকৃত কারণগুলো উদঘাটন এবং দায়ীদের শনাক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করার ঘটনারও তীব্র সমালোচনা করেন এবং বলেন, যে সব ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও জানান, এই ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানির ঘটনা যে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না এবং সরকার তা প্রতিরোধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তার মন্তব্য, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পরিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার বার্তা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।