প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৪১
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পুরাতন মটমুড়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া গোরস্থানের পাশের বাঁশঝাড় থেকে এক নবজাতক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে এবং মুহূর্তেই এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে পথচারীরা বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পান। পরে কান্নার শব্দটি স্পষ্ট হলে তারা নিশ্চিত হন যে একটি নবজাতক সেখানে পড়ে আছে। খবরটি দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপি সদস্য হোসাইন। তিনি স্থানীয়দের সহযোগিতায় নবজাতকটিকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। শিশুটির শরীরে পিঁপড়া ও মশার কামড়ের চিহ্ন ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
গ্রামের বাসিন্দা ববিতা খাতুন বলেন, তিনি বাঁশঝাড়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুর কান্না শুনতে পান। কাছে গিয়ে দেখেন নবজাতক উপুড় হয়ে পড়ে আছে এবং অসংখ্য পিঁপড়া শরীর জুড়ে কামড়াচ্ছে। দ্রুত তিনি অন্যদের ডাক দেন এবং পরে আনসার বাহিনী শিশুটিকে উদ্ধার করে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারুক হোসেন শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল আল আজিজ জানান, নবজাতক বর্তমানে মোটামুটি সুস্থ আছে। তবে শিশুটির নিরাপত্তা ও উন্নত সেবার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাইল বলেন, কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাটির রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
অসহায় অবস্থায় জীবনের ঝুঁকিতে থাকা নবজাতককে উদ্ধার করে চিকিৎসার আওতায় আনার ঘটনায় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে কে বা কারা এমন নির্মম কাজ করেছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।