লেয়ার মুরগি প্রতারণায় গোপালপুরে হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় ‘লেয়ার মুরগি ফার্ম এন্ড হ্যাচারী’ নামে প্রতারণামূলক আর্থিক চক্রের শিকার হয়ে অনেকে কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন—প্রতারণাকারীরা পাঁচশত টাকা jäsen ফি নিয়ে হাইব্রিড জাতের ২০টি মুরগি, ২১ মাস পর্যন্ত ফ্রি খাদ্য, ঔষধ ও ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলে লোকজনকে আকৃষ্ট করেছিল। পাশাপাশি কিস্তিতে দেয়া হবে দোতলা কাঠের ঘর এবং গ্রুপ লিডার পদের জন্য নির্দিষ্ট ফি নিলে প্রতিমাসে বেতন ও ডিম কমিশন দেওয়ার লোভ দেখানো হয়।

সরাসরি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায়—রমজীবনপুর, বাইশকাইল, পোড়াবাড়ী, উদ্যমপুর, বেলুয়া, নগদা শিমলা সহ নানান গ্রামের বাসিন্দারা মোটা অংকের নগদ দেখিয়ে ওই চক্রকে টাকা দিয়েছেন। এক গ্রামবাসী জানালেন, সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখে দুই জন এসে নগদ নিয়ে গিয়েছে; পরবর্তীতে বিকাশে প্রদেয় নাম্বারে আরও টাকা গৃহীত হয়। কার্ডে প্রোপ্রাইটারের নাম মোছা ফাতেমা তুজ-জান্নাত ও ঠিকানায় বগুড়ার সাবগ্রাম দেখালেও নম্বরগুলো বর্তমানে বন্ধ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ৩০–৩২ জনকে গ্রুপ করে সদস্য বানানো হয়েছে এবং গ্রুপ লিডারদের বেতন, কমিশন ও মুরগি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবে দেয়া হয়নি। অনেক গ্রাহককে মুরগি না দিয়ে পলাতক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা তাদের সঞ্চিত অর্থ হারিয়ে মানসিক ও আর্থিক চাপে পড়েছেন এবং প্রতারকদের দ্রুত গ্রেফতার ও টাকা ফেরতের দাবি জানাচ্ছেন।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি; তবু তিনি স্বপ্রণোদিতভাবে তদন্ত করে প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করবেন। স্থানীয়রা জরুরি পর্যবেক্ষণ ও সচেতনতায় স্থানীয় প্রশাসনের শক্ত উদ্যোগ দাবি করেছেন।