প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১৭:২২
মেহেরপুরে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী, সেই সময় তার কাছ থেকে ডলার ও বিদেশি মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। গত ১১ জুন গভীর রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা-আশরাফপুর কড়ইতলা সড়কে অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার সময় মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ও তার নানা মোহাম্মদ রেজাউল হক ইজারুল ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে ইউসুফের কাছ থেকে সিঙ্গাপুরের ৬৭ ডলার, তিনটি মোবাইল ফোন, চার্জার, বিদেশি চকলেট, সাবান, শ্যাম্পু, বডি স্প্রে, পেইন রিলিফ মলম, টুথপেস্ট এবং একটি সিটি গোল্ড নেকলেস ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাটি জানার পর মেহেরপুর সদর থানায় মামলা রুজু করা হয়।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত অনুসন্ধান চালিয়ে ১২ জুন সদর ও মুজিবনগর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় ছিনিয়ে নেওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে বাবু ওরফে বাবুল, জামিরুল, মৃত মকছেদ মন্ডলের ছেলে বাবুল, সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের খোকন পাইকের ছেলে দিপন পাইক এবং নুরপুর গ্রামের রুবেলের ছেলে মোহাম্মদ রাব্বী।
পুলিশ জানায়, বাবু ওরফে বাবুলের বিরুদ্ধে চোরাচালান, নারী নির্যাতন, বিস্ফোরক আইনে মামলা সহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে। দিপন পাইকের বিরুদ্ধে মাদক, দস্যুতা ও চুরির ৩টি মামলা রয়েছে এবং জামিরুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ও ডাকাতির প্রস্তুতির ২টি মামলা তদন্তাধীন। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সম্প্রতি এলাকায় এই ধরনের সংঘটনের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে এই ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
মেহেরপুর পুলিশের তৎপরতা ও দ্রুত গ্রেফতারের কারণে অনেকেই প্রশংসা করছেন। তারা আশা প্রকাশ করছেন, ভবিষ্যতে এলাকায় নিরাপত্তা আরও উন্নত হবে এবং সাধারণ মানুষ শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারবে। প্রশাসন জনগণের সহযোগিতা চেয়েছে যাতে অপরাধ দমন কার্যক্রম আরো কার্যকর হয়।