বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি, জনজীবন বিপর্যস্ত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিন্মচাপে পরিণত হওয়ায় বরিশাল বিভাগে বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের মতে, এ বৃষ্টি আরও এক থেকে দুই দিন পর্যন্ত চলতে পারে এবং এর ফলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পাবে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মাসুদ রানা রুবেল জানান, গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ২০ মিনিট থেকে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত প্রথমে হালকা বৃষ্টি হয়। এরপর রাত ৩টা থেকে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বরিশাল বিভাগের সব এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়নি। কিছু কিছু জায়গায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, লঘুচাপ নিন্মচাপে পরিণত হওয়ায় বৃষ্টি চলতে থাকলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পাবে এবং বৃষ্টি না হলে কুয়াশা পড়বে, যার কারণে দৃষ্টিসীমা ৫০০ থেকে ১,০০০ মিটার মধ্যে চলে আসবে। তবে, বৃষ্টি চলমান থাকলে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা নেই।

বরিশালের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মুরাদুল হাসান জানিয়েছেন, এই পরিমাণ বৃষ্টি ফসলের ক্ষতি করবে না। আমন ধানের ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে কাটা হয়েছে এবং সরিষা ক্ষেতেও তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। শাকসবজির জন্য এই বৃষ্টি উপকারী হবে।

এদিকে, বরিশাল শহরের মানুষ এই বৃষ্টির কারণে কিছুটা অসুবিধায় পড়েছে। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরজুড়ে শীতের অনুভূতি তীব্র হয়ে উঠেছে। নগরীর রিকশাচালক আল আমিন জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে তাঁর আয় কমেছে এবং তিনি আশঙ্কা করছেন, বৃষ্টিতে ভিজলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা কমে গেছে। যানজটের তুলনায় সড়কগুলো এখন অনেক সহজে পার হচ্ছে, তবে মহাসড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় পরিবহনচালকদের জন্য কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়, এতে বাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে সকালে, মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তবে সেখানেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।