
প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১:১৬

গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খেলা লাঠিখেলা। গ্রামে গ্রামে এ খেলার প্রচলন থাকলেও এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। তবে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদীর তীরবর্তী চরগোয়াল গ্রামের মানুষ এখনও সে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) চর গোয়ালগ্রামে মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে হয়ে গেল ১৬টি দলের লাঠিখেলার প্রতিযোগিতা। এতে জেলার ৪টি দলও অংশগ্রহণ করে। লাঠিয়ালদের কলাকৌশল ও দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছে কয়েক হাজার দর্শক।
প্রবীণ লাঠিয়ালদের উদ্যোগে ওস্তাদ জৌলুস সরদারের স্মৃতিচারণে গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামে আয়োজন করা হয় লাঠি খেলার প্রতিযোগিতা। জেলার বিভিন্ন গ্রামের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ জেলা থেকেও এসেছিল বেশ কয়েকটি লাঠিয়াল দল।
ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখতে ভিড় জমায় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষেরা। ঢোলের তালে তালে লাঠি চালানোর কলাকৌশল প্রদর্শন করেন লাঠিয়ালরা। লাঠি দিয়ে নিজেকে রক্ষা, নিজের সম্পদ রক্ষাসহ শত্রু পক্ষকে ঘায়েল করার কৌশলও প্রদর্শিত হয় এ খেলায়। লাঠি ঘুরিয়ে নেচেগেয়ে উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করেন নবীন-প্রবীণ লাঠিয়ালরা।

লাঠি খেলার অসাধারণ ইতিহাস আছে কিন্তু এর জনপ্রিয়তা এখন পড়তির দিকে। লাঠি খেলা নিয়ে বর্তমানে নতুন দলও যেমন তৈরি হচ্ছে না। ঠিক তেমনি এখন পৃষ্ঠপোষকতার অভাবেও আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাও হারিয়ে যেতে বসেছে।
হারিয়ে যেতে বসা লাঠিখেলা আগামীত টিকিয়ে রাখার আশ্বাস দিয়ে মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ বলেন, লাঠিখেলার রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস। গ্রাম বাংলার এই খেলাটি হারিয়ে যেত বসেছে। আগামীতে এই খেলাটি যাতে আরো ভালো ভাবে হয় সেবিষয়ে আমি দেখবো।