প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২১, ২০:৮
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানি গ্রামের ফারুক নামের করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি নিয়মনীতিরই (১৪ দিনের আইসোলেশন) তোয়াক্কা না করে জেলাজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল নিলফামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টেস্ট করান ফারুক। ৫ এপ্রিল প্রকাশিত ফলাফলে সে করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়। পজিটিভ হওয়া সত্তে¡ও সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে কাউকে কিছু না জানিয়ে সে তার গ্রামের বাড়ি বাঁশজানিতে চলে আসে এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সহ সকলের নিকট বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা চালায়।
করোনার শুরু থেকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সাথে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করা একমাত্র সংগঠন ‘ডোনেট ফর ভূরুঙ্গামারী' টিমের সদস্যরা সোমবার ১২ এপ্রিল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফারুকের বাসায় যায়।
ফারুকের করোনায় সংক্রমণের বিষয়ে জানতে চাইলে তার পরিবার প্রথমে অস্বীকার করে এবং সংগঠনটির সদস্যদের দিকে তেড়ে আসে। পরবর্তীতে বাড়ির একজন ফারুকের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি স্বীকার করেন। ফারুক কোথায় এমন প্রশ্নে তারা বলেন, ফারুক বাড়িতে নেই, করোনার টেস্ট করাতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছে।
অপরদিকে, সংগঠনের সদস্যরা ফারুকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে জানতে পারে সে কুড়িগ্রাম যাচ্ছে, বর্তমানে নাগেশ্বরী উপজেলায় আছে ৷ কেন কুড়িগ্রাম যাচ্ছে তা জানতে চাইলে, সে জানায়, দ্বিতীয়বার টেস্ট করানো এবং দ্রুত দ্বিতীয় টেস্টের রেজাল্ট পেতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব প্রধান বাবুল আক্তার জানান, ফারুক নামের এক ব্যক্তি এসেছিলেন, তিনি তার করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি গোপন রেখে জানতে চান কিভাবে করোনা টেস্ট দ্রুত করানো যায়। স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) জি এস রাঙ্গা বলেন, ফারুক নামের এক ব্যক্তি জানতে চান কিভাবে করোনা টেস্ট অতি দ্রুত করানো যায়। তিনি আরো জানান, ফারুক উগ্র মেজাজ দেখানোর কারণে (জি এস রাঙ্গা) নমুনা নেওয়ার বিষয়ে আর কথা বলেননি।
ডোনেট ফর ভূরুঙ্গামারীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এবং দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আশিকুর রহমান তাকে ফোন দিলে, সে প্রথমে তর্কে লিপ্ত হয় এবং পরে নাগেশ্বরী থেকে তার বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হয়।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, ফারুক তার করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে প্রথম থেকেই গোপন রাখে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহেদুল ইসলাম জানান, আইন অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১