কলাপাড়ায় গভীর রাতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাসভবনে হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার ২৫শে মার্চ ২০২৪ ০৫:১৯ অপরাহ্ন
কলাপাড়ায় গভীর রাতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাসভবনে হামলা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লার বাসায় গভীর রাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরছে। হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের বাস ভবনে ইটপাটকেল ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করেছে। এতে তার বাসার জানালার গ্লাস ভেঙ্গে গেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ নিরব রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।


সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে চেয়ারম্যানের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল  কালাম ফরাজী ও লতাচাপলী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আলম ফকিরের নেতেৃত্বে ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। এসময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলো এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। হামলাকারীরা তার বাসা ঘেরাও করে চারপাশ থেকে ইটপাটকেল ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করে। এতে আবাসিক এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পরে। মহিপুর থানা পুলিশ এসে সন্ত্রাসীদের আটক না করে নিরাপদে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।


সংবাদ সম্মেলনে আনছার মোল্লা বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি আমি স্বস্ত্রীক হামলার শিকার হয়েছি। এ মামলার প্রধান আসামী নজরুল ফকির ও তার ভাগ্নে রিয়াজকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা শনিবার সন্ধ্যায় মৎস্য বন্দর আলীপুর বাজারে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিয়ে আমার মেঝো ছেলে রিফাত মোল্লা, যুবলীগ নেতা ইউসুফ হাওলাদার, শামসু হাওলাদারকে বেধড়ক মারধর করেছে।        


তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের উপর একেরপর এক হামলা করেছে হাতুরী বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৪৫-৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বহু নেতা কর্মী। আমি নিরুপায় হয়ে আমার বড় ভাই কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লাকে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ খবর এলাকায় পৌঁছার পরই সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখনো আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের খুন জখমের হুমকি অব্যাহত আছে। সর্বোপরি আমার পরিবারকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে নানা অপকৌশল নেয়া হচ্ছে। এ বিষয় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


এ প্রসঙ্গে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লার বাসায় হামলার ঘটনা তার জানা নেই। এ বিষয়ে আনছার উদ্দিন মোল্লা একটি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।