নিজস্ব অর্থায়নে খালের কচুরিপানা পরিষ্কার আশিক আব্দুল্লাহর

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:০১ অপরাহ্ন
নিজস্ব অর্থায়নে খালের কচুরিপানা পরিষ্কার আশিক আব্দুল্লাহর

বরিশালে কৃষকের জন্য ইরি-বোরো ব্লকে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে আগৈলঝাড়ার পশ্চিম সীমান্ত ত্রিমুখী এলাকার সন্ধ্যা নদী থেকে বাকাল ইউনিয়নের কোদালধোয়া বাজার হয়ে বাকালহাট পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার খালের কচুরিপানা পরিষ্কারকাজ শুরু হয়েছে।


নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে ও কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াতের নাতি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ এ উদ্যোগ নিয়েছেন।


স্থানীয়রা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে খালের কচুরিপানার পরিষ্কারকাজ শুরু করেছেন। এলাকার কৃষকদের জমিতে ইরি-বোরো মৌসুমে সেচের জন্য একমাত্র খালের পানির প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। যে দাবি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ নেতা আশিক আবদুল্লাহ তার নিজস্ব অর্থায়নে সাড়ে ছয় কিলোমিটার খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করতে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে প্রথম দিন ৬০ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করান।


বাকাল ইউনিয়ন আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম পাইক জানান, ত্রিমুখী থেকে পূর্বদিকের খালে আগে সব সময় পানি চলাচল ছিল। এ খালে সারা বছর নৌকা চলাচল করতো। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে কচুরিপানা জন্মানোর কারণে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ত্রিমুখী থেকে পূর্বদিকে কোদালধোয়া, বাকাল, রাজিহার হয়ে গৌরনদীর পালরদী নদী পর্যন্ত খালের পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে কচুরিপানা জন্মে খাল শুকিয়ে ভরাট হয়ে যায়। বর্ষা ও শুকনো মৌসুমে সব সময়ই খালে কচুরিপানায় ভরে থাকে। শুকনো মৌসুমে খালগুলো কচুরিপানার কারণে শুকিয়ে থাকায় পানির প্রবাহ বন্ধ থাকে। এর কারণে ইরি-বোরো ব্লকে পানির সেচ দিতে না পারায় হাজার হাজার কৃষকের বুকে হাহাকারের জন্ম নেয়। আশাতীত ফলন থেকে বঞ্চিত হয় কৃষক। পূর্ণিমা আর অমাবস্যার জোয়ারের ওপর নির্ভর করে ব্লকের ম্যানেজারদের পাওয়ার পাম্প (মেশিন) চালাতে হতো। কোনো কোনো ব্লক ম্যানেজাররা শ্রমিক দিয়ে খালের তলানির অংশের কচুরিপানা পরিষ্কার করে মাঝে মধ্যে সেচ দিলেও তাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যেত অনেকগুণ।


উপজেলার সেরাল গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কৃষকরা তাদের জমিতে সেচ সমস্যার সমাধানের জন্য আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহর সুদৃষ্টি কামনা করলে কৃষকের স্বার্থ চিন্তা করে তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে শ্রমিক দিয়ে খালের কচুরিপানা পরিষ্কারকাজ শুরু করেন। এ সাড়ে ছয় কিলোমিটার খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করা হলে সারাবছর খালে পানির প্রবাহ সচল থাকবে। ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে খরচ বাঁচিয়ে হাহাকার থেকে স্থায়ী মুক্তি পাবে হাজারো কৃষক।


তিনি আরও বলেন, কৃষকরা আশিক আবদুল্লাহর মধ্যে তার দাদা কৃষক কুলের নয়নমনি শহীদ রব সেরনিয়াবাতের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেয়েছেন। খালের পানির প্রবাহ নিশ্চিত করায় এলাকার কৃষক থেকে সব পর্যায়ের লোকজনের প্রশংসায় ভাসছেন সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ।