খুলে দেওয়া হয় ব্যারেজের গেট কমতে থাকে নদীর পানি। রবিবার ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার টাঙ্গন ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে আনন্দে মেতে উঠেছে মাছ স্বীকারিরা। দেশি বিদেশি মাছের লাফা-লাফি দেখে মাছ না ধরে দাড়িয়ে থাকতে পারছেনা শিশু বৃদ্ধারাও। কারও হাতে ঠেলা জাল, টানা জাল, বাদাই জাল, খেয়া জাল, আবার কারও কাঁধে পলো সহ মাছ ধরার নানান উপকরণ।
তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শৌখিন মাছ শিকারি। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাত দিয়েই কাঁদার মধ্যে মাছ খুঁজছেন। আর নদীর পাড়ে হাজারো মানুষ ভিড় জমেছে এমন মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে। টাঙ্গন নদীর মাছ সুস্বাদু হওয়ায় দুর-দুরান্ত থেকে অনেকে মাছ ক্রয় করতে এসেছেন।
রুহিয়া থেকে জাহাঙ্গীর, আরমান, ফারুক, আখানগরের আনোয়ার, জুলফিকার, রাজাগাঁওয়ের ইব্রাহিম, আটোয়ারীর সাত্তার, মামুন, নজরুল জানান, এখানে মাছ মিলছে টাকিমাছ, পুটিমাছ, শোল, বোয়াল, শিং, মাগুর, কৈ, টেংরা, মৃগেল, কাতলাসহ অনেক ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মিঠাপানির মাছ।
রাজাগাঁও ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহিনুর ইসলাম জানান, এই বাধের পানি জুন/জুলাই মাসের দিকে আটকে রাখা হয় এবং ৩/৪ মাস পর সেই পানি ছাড়ে দিয়ে মাছ ধরার উৎসব চলে। ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় জেলা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ ধরতে আসে মাছ স্বীকারিরা।
বাধের পানি ছাড়ার সময় ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ড -এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, এস.ও বিভূতি রায়, এস.ও গোলাম কিবরিয়া, ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট অশেষ সরকার ও জগন্নাথ বর্মন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।