পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের সীমানা লাগোয়া চৌরাস্তায় একটি অবৈধ মাছ বাজার গড়ে তোলা হয়েছে। টিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সৈয়দ মশিউর রহমান শিমুর পৃষ্ঠপোষকতায় এ মার্কেটটি গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিদিন এখানে শত শত ব্যবসায়ীরা পাইকারি এবং খুচরাভাবে মাছ বিক্রি করে আসছে।
এই বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে ইজারার নামে দৈনিক হাজার হাজার টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে। আদায় কৃত এসব টাকা সরকারি কোন রাজস্ব খাতে জমা হয না। বছরের পর বছর ধরে এ বাজার থেকে খাজনার নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হলেও নিরব পৌর প্রশাসক এবং জেলা প্রশাসন।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এবিষয়ে উপস্থাপন হলে বিষয়টি সকলের নজরে আসে। যা রেজুলেশনভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু অবৈধ এই মাছের বাজারটি এখনো বন্ধ হয়নি। বন্ধ হয়নি অবৈধ ইজারা নেয়া।
মৎস্য ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যে মতে, এখানে প্রতিদিন কমপক্ষে দশ হাজার টাকা খাজনা তোলা হয়। ওই মাছ বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে এই খাজনা আদায় করা হয়। অথচ টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত হওয়ায় এ বাজারটি সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত না থাকার সুযোগে আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে না। ইতিপূর্বে সরকারি বাজার না থাকায় উপজেলা প্রশাসন পাখিমারার গরু-ছাগলের বাজারটি বন্ধ করে দেয়।
অপরদিকে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে গরু-ছাগলের হাট বসে অবৈধ ভাবে। ওই হাটটিও বন্ধের দাবি সচেতন মহলের। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ হাট বাজার বসিয়ে একটি গোষ্ঠী মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিলেও প্রশাসনের নিরবতায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে সাধারন মানুষের মাঝে।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু বলেন, এটি হাঁট-বাজার নয়। এখানে খুব সকালে আড়তদাররা পাইকারি মাছ বেচাকেনা করে। দুই-এক ঘন্টার জন্য। কোন ধরনের টোল কিংবা খাজনা আদায় হয়না। শুধুমাত্র ওই জায়গার মাটি ভাড়ার জন্য কিছু টাকা আড়ত মালিকরা মাস শেষে মালিককে আমার মাধ্যমে দেয়। কারণ ওই জায়গাটি আমি ভাড়া নিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।