কক্সবাজারের টেকনাফে সড়ক দূর্ঘটনা হাসিনা আক্তার নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চালক সহ দুই যুবক।
২০ এপ্রিল সকাল সকাল ৯ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসিনা আক্তার (৩৫) হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপড়া এলাকার আবুল কাসেমের স্ত্রী। আহতরা হলেন সিএনজি চালাক সাইফুল ইসলাম ও যাত্রী নুরুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একটি যাত্রীবাহী কক্সবাজারগামী সিএনজি হ্নীলা হয়ে কক্সবাজার যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা টেকনাফগামী একটি মালবাহী পিক আপের ধাক্কায় ধুমড়ে মুছড়ে যায় সিএনজিটি। এ সময় ঘটনাস্থলে ওই নারী প্রাণ হারান। তার সাথে থাকা ৫ বছরের শিশু কণ্যা অক্ষত থাকে। স্থানীয়রা ও হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশের একটি দল এগিয়ে অন্যান্য আহত চালক ও যাত্রীদের উদ্ধার করে এনজিও পরিচালিত এমএসএফ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মা মেয়ে ও অপর এক যাত্রী সহ সিএনজি (অটো) করে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে উলুবনিয়া রাস্তার মাথা সড়কের মোড়ে মালবাহী পিকআপের ধাক্কায় সিএনজিটি ধুমড়ে মুছড়ে যায়। এ সময় মা হাসিনা আক্তার মারা গেলেও অক্ষত থাকে ৫ বছরের শিশু মেয়েটি। নিথর মায়ের দেহ সড়কে পড়ে থাকলে মা মা করে কাঁদতে থাকে অবুঝ শিশুটি। ঘটনাস্থলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল আমিন সিকদার জানান, উলুবনিয়া রাস্তার মাথা সড়ক ঘেষে প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা সহ বাজার রয়েছে । সড়কটি মোড় বা বাঁকটি ভয়াবহ হওয়ায় ছোট খাটো সড়ক দূর্ঘটনা লেগেই থাকে। সড়কে গতিরোধক স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মনজুরুল সিএনজি গাড়িতে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত নারীকে পরিবারের পাশে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সাথে অক্ষত শিশুটিকেও। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসা সেবার ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযো অব্যাহত রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।