রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আতঙ্ক ছিল নিহত কুখ্যাত জকির ডাকাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমান উল্লাহ কবির, উপজেলা প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: বুধবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০১:৪৩ অপরাহ্ন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আতঙ্ক ছিল নিহত কুখ্যাত জকির ডাকাত

টেকনাফের নয়াপাড়া মোচনি-শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতি, মাদক-মানব পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ বাণিজ্য ও দোকান দখল এসবই নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। বিশেষ করে পাহাড় ঘেষা রোহিঙ্গা ক্যাম্প কে কেন্দ্র করে সক্রিয় রয়েছে সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা ডাকাত দল। এসব অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতো নুর আলম, মোঃ সলিম ও জকির আহমদ।


এরমধ্যে নুর আলম বিগত ২০১৮ সনে র‌্যাবের সাথে বন্ধূকযুদ্ধে নিহতের পর নিয়ন্ত্রণে আসে মোছনি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোঃ সেলিম ডাকাত। তখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো এক ছেটিয়া দখলে নিয়ে হত্যা-রাহাজানি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অপহরনসহ নানান অপরাধে ক্ষুদ ডাকাতদেলর মাঝেও অতিষ্ঠ হয়ে উঠে রোহিঙ্গা সেলিম ডাকাত। সর্বশেষ হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের


যুবলীগ নেতা ও প্রাইমারি স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওমর ফারুককে হত্যা করে দেশ জুড়ে পরিচিত ও আলোচনা উঠে আসে কুখ্যাত ওই সেলিম ডাকাত। তার এমন বেপরোয়া পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের দিন দিন বদনাম ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সাধারন রোহিঙ্গারা। কিন্তু তার অত্যাচার ও


হামলার ভয়ে সহজে মুখ খুলতো না কেউ।  এক পর্যায়ে ডাকাতদের মধ্যেও সেলিম কে সহ্য করতে পারেনি।  কৌশলে সেলিম ডাকাতকে ২০১৯ সনে হত্যা করে তার স্থান দখল করে নেয় জকির আহমদ ওরফে জকির ডাকাত। অপরাধের রাজ্যের সর্বশেষ নেতৃত্বে ছিল সে। গত মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় নয়াপাড়ার সি-ব্লকের আমিনের


ছেলে জাকির আহমদ ওরফে জকির ডাকাত। এসময় তার অপর দুজন সহযোগীও নিহত হয়। তারা হলো, মো. হামিদ ও শালবন রোহিঙ্গা শিবিরের মো. জহির। জকির নিহতের সাথে সাথে দেড়-দুই বছরের মুর্ত্যমান জীবনের সমাপ্তি ঘটে পাহাড়ী রোহিঙ্গা শিবির গুলোতে। তার মৃত্যুে খবরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিস্টি বিতরণ করে সাধারন রোহিঙ্গারা।