জাতীয় প্রেসক্লাবে সৈয়দ আবুল মকসুদের জানাজা সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: বুধবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
জাতীয় প্রেসক্লাবে সৈয়দ আবুল মকসুদের জানাজা সম্পন্ন

জাতীয় প্রেসক্লাবে খ্যাতিমান কলামিস্ট, লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।


এর আগে জানাজার জন্য স্কয়ার হাসপাতাল থেকে আবুল মকসুদের মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নেয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা শেষে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর পর বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে খ্যাতিমান এই কলামিস্টকে।


গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান সৈয়দ আবুল মকসুদ। তার বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর।কলামিস্ট, লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে নানা বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন। বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম নিয়ে লিখেছেন গবেষণামূলক প্রবন্ধ। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।


১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্ম সৈয়দ আবুল মকসুদের। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬৪ সালে সাপ্তাহিক নবযুগ পত্রিকায়। এটি ছিল পাকিস্তান সোশ্যালিস্ট পার্টির মুখপত্র। পরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সমর্থিত সাপ্তাহিক ‘জনতা’য় কাজ করেন কিছুদিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বার্তা সংস্থায় (বিএসএস) যোগ দেন। ২০০৮ সালে এই চাকরি ছেড়ে দেন।


সৈয়দ আবুল মকসুদ বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে নানা বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন। বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন। পাশাপাশি কাব্যচর্চাও করেছেন। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের ওপর।


মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবন, কর্মকাণ্ড, রাজনীতি ও দর্শন ও ভাসানী কাহিনী, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য ও স্মৃতিতে ওয়ালীউল্লাহ সৈয়দ আবুল মকসুদের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। সৈয়দ আবুল মকসুদ ১৯৯৫ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার।