নেছারাবাদে ৩৫ পরীক্ষার্থী কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা দিতে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:১০ অপরাহ্ন
নেছারাবাদে ৩৫ পরীক্ষার্থী কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা দিতে পারবে না

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক ও আরামকাঠি হাজী ইব্রাহিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এস,এস,সি ভোকেশনাল শাখার কৃষিশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেনা ৩৫ পরীক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীরা ৯ম শ্রেণীতে কৃষি শিক্ষা বিষয়ে ফেল করায় তাদের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে ওই বিষয়ের নাম কোড আসেনি। সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং আরামকাঠি হাজী ইব্রাহীম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান তাদের ৩৫ পরীক্ষার্থী অন্যান্য বিষয় পরীক্ষা দিতে পারলেও কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না।

তবে কৃষি শিক্ষা অতিরিক্ত সাবজেক্ট হওয়ায় এস,এস,সি পরীক্ষার ফলাফলে (পাশের ক্ষেত্রে) এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবী করেন স্বরূপকাঠির কেন্দ্র সচিব ও সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দত্ত । তবে শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে শংকা রয়েছে বলে তিনি জানান। 

আরামকাঠি হাজী ইব্রাহিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল জেনারেল মেকানিক্স শাখার ইন্সট্রাক্টর মো: আনিসুর রহমান বলেন, এ বছর তাদের বিদ্যালয় থেকে মোট ৩৭ শিক্ষার্থী এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এদের মধ্য থেকে ২০ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার প্রবেশপত্রে অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে কৃষি শিক্ষার সাবজেক্ট কোড আসেনি। তখন প্রবেশপত্র হাতে পেয়েই তারা বিষয়টি জানার জন্য বোর্ডে গিয়েছিলেন।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে ওই শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় কৃষিশিক্ষা বিষয়ে ফেল করেছে। এজন্য এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় তাদের প্রবেশপত্রে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের নাম কোড যায়নি। ওই শিক্ষক বলেন, কৃষি শিক্ষা বিষয়ে তাদের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে না। এজন্য তাদের শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফলের দিক থেকে পিছিয়ে পড়বে। আরামকাঠি হাজী ইব্রাহিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার প্রবেশপত্রে ওই ২০ শিক্ষার্থীর কৃষি শিক্ষার নাম বিষয় কোড কিছুই আসেনি।

ওই শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণীতে কৃষিশিক্ষায় ফেল করেছে বলে একটু সমস্যা হয়েছে । এ বিষয়ে এস,এস,সি পরীক্ষা কেন্দ্রের স্বরূপকাঠির কেন্দ্র সচিব ও সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দত্ত বলেন, কেবল আরামকাঠি হাজী ইব্রাহিম বিদ্যালয়ই নয়, তার বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার অনেক এস,এস,সি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে কৃষি শিক্ষার নাম কোড কিছু আসেনি। যে কারনে তারা ওই বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না।

এজন্য ওইসব শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফলের দিক দিয়ে একটু পিছিয়ে পড়তে পারে। তিনি বলেন, শিক্ষা বোর্ডের অবহেলার কারনে এ রকম সমস্যা হয়েছে বলে দাবী করেন কেন্দ্র সচিব স্বপন কুমার দত্ত। তিনি আরো বলেন, যাতে আগামীতে এরকম সমস্যা না হয়, সে জন্য আরো সতর্ক থাকবেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর