দেবীদ্বার মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, উপজেলা প্রতিনিধি - দেবীদ্বার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল ২০২৪ ০৯:০৩ অপরাহ্ন
দেবীদ্বার মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ‘শহীদ জিয়াস্মৃতি পৌর পার্কের’ ভেতরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা চটপটি বাজার উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে গড়ে তোলা অবৈধ ষ্ট্যাশনারী, পান- সিগারেটের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান, এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ও সিএনজি ষ্ট্যাড উচ্ছেদ করা হয়নি।


বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দেবীদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম।এসময় দেবীদ্বার থানার এএসআই সজলসহ একদল পুলিশ উপস্থিত ছিল।


উচ্ছেদ অভিযানে ‘মুসলিম চটপটি, ফোসকা এন্ড টক-ঝাল মিষ্টি আচার’, ‘মায়ের দোয়া চটপটি ফোসকা এন্ড দই ফোসকা’, ‘ঢাকাইয়া চটপটি এন্ড ফোসকা হাউজ’সহ ৬টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়।


স্থানীয় ব্যবসায়ি মো. খোরশেদ আলম জানান, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার সদর এলাকায় প্রধান যানজটের মূল কারন অবৈধ দখলদারদের ফুটপাত এবং সড়কের জায়গা ও ‘শহীদ জিয়াস্মৃতি পৌর পার্ক’ দখল করে বিভিন্ন দোকান তৈরী, এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ও সিএনজি ষ্ট্যান্ড নির্মাণ করা হয়।


নাম না প্রকাশের শর্তে একজন চিকিৎসক জানান, দেবীদ্বারে স্বাস্থ্য সেবায় চেয়েও বড় সমস্যা হল- দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকটি থাকে সিএনজি, অটো রিক্সার দখলে। এছাড়াও অবৈধ দখলদাররা হাসপাতালের সামনে এবং গেইটের দু’পাশে বিভিন্ন দোকান নির্মান করে দখলে রাখায় রোগিদের যাতায়তে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় দূরের রোগিদের হাসপাতাল খুঁজে পেতেও সমস্যা দেখা দেয়। উপজেলা আইনশৃংখলা মিটিংগুলোতে বার বার এ বিষয়টি উঠে আসলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত কারনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা না।


ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দেবীদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, জানযট নিরসন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বিক্রি করা এবং অনিয়ম করে বিদ্যুৎ ব্যাবহার করার অভিযোগে এই দোকানগুলো এখান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা আমাদের একটি নিয়মিত অভিযান। হাসপাতাল গেইটের সামনের দোকানগুলোও সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। না নিলে পরবর্তী অভিযানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।