আজ, ১ নভেম্বর, ২০২৩ থেকে দেশের কাঁচাবাজারে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে। এর আগে ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপগুলোতে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে সরকার এবং পরিবেশ সংরক্ষণবিদদের দীর্ঘ চিন্তাভাবনা, যার লক্ষ্য দেশের পরিবেশ রক্ষা করা।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এখন থেকে কোনো ক্রেতাকে পলিথিন ব্যাগ দেওয়া যাবে না এবং কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করতে কঠোর মনিটরিং শুরু হয়েছে। একইসাথে, পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানও চালানো হবে।
সরকারের এই উদ্যোগের ফলে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, বিকল্প ব্যাগ এখনও পর্যাপ্ত নয় এবং পলিথিন ছাড়া তাদের পণ্য সরবরাহ করা কঠিন হবে। তারা জানান, যদি ক্রেতারা নিজেদের ব্যাগ নিয়ে আসেন, তবে তারা সেগুলোতেই পণ্য বিতরণ করবেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সমন্বয়কারী লিংকন গায়েন জানান, পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, তাই এটি বন্ধ হওয়া উচিত। তবে তিনি সতর্ক করেন যে, বিকল্প ব্যাগের অভাবে আগে নেওয়া উদ্যোগগুলো কার্যকর হয়নি। তিনি পরামর্শ দেন, পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে বাজারে বিকল্প ব্যাগের সরবরাহ বাড়ানো উচিত।
২০০২ সালে দেশে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হলেও নজরদারির অভাবে এ নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পর্যাপ্ত বিকল্প এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এই উদ্যোগ সফল হতে পারে। পরিবেশ রক্ষায় সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও, নিশ্চিত করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।