গাজায় হাসপাতালে ঘুমন্ত মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল - দখলদার ইসরাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ ১২:১৮ অপরাহ্ন
গাজায় হাসপাতালে ঘুমন্ত মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল - দখলদার ইসরাইল

গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে ইসরাইলি বিমান হামলার পর প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিগুলো ‘ভয়ঙ্কর এবং গভীর বিরক্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। এসব সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি নিষ্ঠুরতার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।


ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউস ইসরাইল সরকারের কাছে তাদের উদ্বেগ পরিষ্কার করেছে। তিনি বলেন, "বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে ইসরাইলের আরও কিছু করার দায়িত্ব রয়েছে—এবং এখানে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।" একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, হামাসের পক্ষ থেকেও বেসামরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করার প্রচেষ্টার কথা।


গত রাতে ইসরাইলের যুদ্ধবিমান আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে হামলা চালায়, যেখানে চারজন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মেডিক্যাল টিমের ভাষ্যমতে, কিছু মৃতদেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে সেগুলো চেনা সম্ভব হয়নি।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখন তাদের উপর হামলা চালিয়ে অনেকগুলো তাঁবু পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁবুতে ব্যবহৃত দাহ্য নাইলন ও কাপড় সামগ্রীর কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আহতদের বেশিরভাগ শরীরের দুই বা তিনভাগ পুড়ে যায়।


গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, এই হামলা প্রমাণ করেছে যে গাজায় কোথাও নিরাপদ স্থান নেই। তাদের মতে, ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের জীবনে আরও একবার ভয়াবহ সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। 


বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা ইসরাইলের সামরিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। 


এই পরিস্থিতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে প্রশ্ন তুলেছে যে, কি পরিণতি ঘটতে পারে যদি ইসরাইলের হামলা অব্যাহত থাকে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি এই ধরনের সহিংসতা চলতে থাকে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তির জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।