রোববার থেকেই দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌরভ নূর , বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৯ অপরাহ্ন
রোববার থেকেই দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর: শ্রমিক বিক্ষোভ ও অস্থিরতা না কাটলে পোশাক কারখানাগুলো আগামীকাল রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন কারখানা মালিকরা। শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, কারখানা মালিক ও বিজিএমইএর নেতারা। বৈঠক শেষে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে চলমান অস্থিরতা যদি শিগগিরই সমাধান না হয়, তবে তারা কারখানাগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে শ্রমিক অসন্তোষ ও শিল্পের নিয়মিত উৎপাদন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


বিজিএমইএর এ ঘোষণার পর বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) বিজিএমইএর সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। বিকেএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শ্রমিক অসন্তোষের ফলে উৎপাদনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, যা শিল্পের উন্নয়নের পথে বড় বাধা। তাদের মতে, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধান আসা জরুরি।


শ্রমিক অসন্তোষের মূল কারণ হিসেবে মজুরি বৃদ্ধির দাবি এবং কারখানার নিরাপত্তার বিষয়ে শ্রমিকদের অভিযোগগুলো উঠে এসেছে। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। তবে এ নিয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে সঠিক সমাধানে পৌঁছানো যায়নি, যার ফলে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে।


বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মালিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি। পাশাপাশি তারা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আলোচনা ছাড়া সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় এবং অস্থিরতার মাধ্যমে কোনো সমাধান পাওয়া যাবে না। 


এ অবস্থায় পোশাকশিল্পে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সুনাম নষ্ট হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।