মঙ্গলগ্রহের ধূলিময় সমভূমিতে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিরিবিলি বসেছিল নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার। গত এক হাজার দিন ধরেই সেটি নিরিবিলি বসেছিল। কিন্তু শনিবার হঠাৎ করেই কাঁপতে শুরু করে মঙ্গলগ্রহ। বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে এই কম্পন। এই রোবট তার সিসমোমিটার থেকে পৃথিবীতে তথ্য পাঠায়। এরপর নাসার বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, সেখানে একটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে।
ইনসাইট যে তথ্য পাঠিয়েছে, তাতে মঙ্গলগ্রহে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। ইনসাইট ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে লাল গ্রহ স্পর্শ করার পর থেকেই এমন বড় মাত্রার ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা।
গত মাসেই এ ধরনের বড় মাত্রার আরও দুটি কম্পন রেকর্ড করেছিল ইনসাইট। ওই দুটি কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.২ ও ৪.১। এর আগে ২০১৯ সালে মঙ্গলগ্রহে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে বড় মাত্রার ভূমিকম্প ছিল ৩.৭।
এপ্রিলে ইনসাইডারকে ইনসাইটের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ব্রুস বানেরডট বলেন, মনে হচ্ছে মঙ্গলগ্রহে বড় মাত্রার খুব বেশি ভূমিকম্প হয় না। ছোট মাত্রার ভূমিকম্পের সংখ্যাই বেশি। এটি দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছে আমদের।
তবে শনিবার যে কম্পন হয়েছে, তা ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি এনার্জেটিক ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।