লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি সীমান্ত এলাকায় জমির বিরোধে সংঘর্ষ বাধে।
এ সংঘর্ষে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ (৪০), তার পরিবারের সদস্য সাকিব (১৭), সৌরভ (১৮) সহ মোট ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় কয়েকজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে, বাকিরা হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গেন্দুকুড়ি এলাকার আবাদি জমি নিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ ও তার প্রতিবেশী আতিকুল এবং নূরলের পরিবারে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে, ধান কাটার জন্য উভয় পক্ষই জমিতে উপস্থিত ছিল। এই সময় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়ে আতিকুল ও নূরল গংদের সদস্যরা হামিদ ও তার পরিবারকে আক্রমণ করে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালালে, দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, "এ জমি আমি আবাদ করেছি এবং ধান কেটে রেখেছিলাম। কিন্তু তারা এসে ধান তুলে নিয়ে যায়। বাধা দেওয়ার পরই তারা হামলা করে। আমি আমার ছেলেসহ আরও তিনজন আহত হয়েছি।"
অপরদিকে, অভিযুক্ত নূরলের শ্যালক হাফিকুল ইসলাম দাবি করেন, "আমার বোন জামাই দীর্ঘদিন ধরে এই জমি ব্যবহার করছে। আজ ধান তুলতে গেলে তারা বাধা দেয়।"
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ারুল হক জানান, আহতদের মধ্যে গুরুতর আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, "ঘটনা জানার পর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।"
এ ঘটনা স্থানীয় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।