নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বুসরহাট জিরো পয়েন্টে এই সমাবেশ আয়োজন করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়াত-ই-ইসলামী।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর ও নোয়াখালী-৫ আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন। বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারেফ হোসেন সমাবেশের সঞ্চালনায় নিয়োজিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার। প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মিকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। তারা বলেন, "ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালে এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটানো হয়েছে, এবং এই শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।" সমাবেশে বক্তারা সাত নেতাকর্মির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবি জানান। এছাড়াও তারা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দীন ফারুক, মাওলানা সাইয়েদ আহমদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আলমগীর মুহাম্মদ ইউছুপ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ইসমাঈল হোসেন মানিক, কবিরহাট উপজেলা জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম মিলন, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে বসুরহাট বাজারের উপজেলা মসজিদ গেইটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর, বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে জামায়াত নেতাকর্মীরা হত্যা মামলার দ্রুত বিচার এবং আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।