সরাইল উপজেলা শাহজাদাপুর শাপলাবিলে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় দুই জেলের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অপরজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন এ অর্থদণ্ড ও কারাদন্ড দেন।ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়। সরাইল উপজেলার শাহাজাদাপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন শাপলা বিলে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ আলোকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই সময় অবৈধ রিং জাল ব্যবহার করে এবং ফিক্সড ইঞ্জিন ব্যাবহারে করে ইজারাকৃত বিল থেকে অবৈধ ভাবে মাছ আহরণ করে। এতে করে মাছের স্বাভাবিক বংশ বিস্তারে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ইজারাদার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এইসময় অভিযান চালিয়ে ৩ জন কে আটক করা হয় এবং প্রায় ২ হাজার মিটার রিং জাল ও দুইটি নৌকা জব্দ করা হয়।
আটককৃতদের একজনকে দেশীয় অস্ত্র টেটা ও বল্লমসহ আটক করা হয় এবং সে অভিযানে বাধা চেষ্টা করে। এই সময় তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়, একজনকে সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটানোর দায়ে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আটক অন্য দুইজনকে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এর ৩ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৫ ধারায় ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জব্দকৃত রিং জাল ঘটনাস্থলে আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়। জব্দকৃত দুইটি নৌকা সরাইল থানায় জিম্মায় রাখা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন যারা, হাবিব, পিতা টুনু মিয়া, ক্ষমতাপুর, শাহবাজপুর ১ মাসের কারাদণ্ড। রায়হান, পিতা- হাফিজ, আখিতারা জরিমানা ৫,০০০ হাজার টাকাও আখিতারা গ্রামের হাফিজ মিয়ার ছেলে ফতো মিয়াকে ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ।এ সময় সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হাসানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাপুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন এ প্রতিনিধিকে জানান,নদীতে মাছ শিকারে কারেন্ট জাল ব্যবহার সম্পূর্ণ অবৈধ। অবৈধভাবে কারেন্ট জাল দিয়ে কেউ যদি মাছ শিকারের চেষ্টা করে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।