ঝালকাঠির চার উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে চরম অচলাবস্থা। একটি মাত্র সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সদর, নলছিটি, কাঁঠালিয়া এবং রাজাপুরের অফিস, যা জমি ক্রয়-বিক্রয়ে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে, ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজনেও জমির দলিল ও কাগজপত্র করতে পারছেন না।
জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র রাজাপুর উপজেলায় একজন সাব-রেজিস্ট্রার মো. রিয়াজুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সপ্তাহে দুদিন ঝালকাঠি সদরে এবং একদিন অন্য উপজেলায় অফিস করেন। এই একদিনের মধ্যে তিনি সমস্ত কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। অনেকেই কয়েকদিন অফিসে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন উপজেলায় ২৫০-৩০০ দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে তা মাত্র ৫০-৬০-এ সীমাবদ্ধ হয়েছে। এমন অবস্থায় জমি বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে সন্দেহ এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় দলিল লেখকরা জানান, তারা সপ্তাহে একাধিক গ্রাহককে পরিষেবা দিতে পারছেন না, যা তাদের পেশাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, “একটি জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে অফিসে গিয়ে শুনতে পাই, সাব-রেজিস্ট্রার একদিন অফিস করেন। এভাবে চললে কীভাবে কাজ হবে?”
সাব-রেজিস্ট্রার রিয়াজুল ইসলাম জানান, “অবশ্যই এটি কঠিন, তবে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কিন্তু একদিনে সব কিছু করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছি।”
এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার মহসিন মিয়া জানান, তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। নতুন সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ পেলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সেবাগ্রহীতারা দ্রুত সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন, অন্যথায় তাদের জমি ক্রয়-বিক্রয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এলাকার এই চরম ভোগান্তির অবসান না হলে আগামীতে জনস্বার্থে আরও বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।