হাতীবান্ধায় শিক্ষিকাকে লাঞ্চিত: প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি , লালমনিরহাট
প্রকাশিত: বুধবার ১৬ই অক্টোবর ২০২৪ ০৪:২৬ অপরাহ্ন
হাতীবান্ধায় শিক্ষিকাকে লাঞ্চিত: প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রেহানা খাতুনের বিরুদ্ধে সহকর্মী শিক্ষিকার লাঞ্চনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিংগীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুবনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এক ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।


অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষিকা সায়মা খাতুন লাকী গড্ডিমারী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা। সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যপদ নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রে রেহানা খাতুনের সাথে সায়মার বাকবিতণ্ডা ঘটে। ৪ অক্টোবর সায়মা এবং তার স্বামী শাহিন বিদ্যালয়ে গিয়ে রেহানাকে হুমকি দেন। এরপর ৬ অক্টোবর বিদ্যালয়ে এসে সায়মা সরাসরি রেহানার সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। রেহানা অচেতন হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


মানববন্ধনে সাবেক শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “একজন শিক্ষিকার এই আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সায়মা যদি রেহানার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তাহলে আমরা কঠোর প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।” 


অভিযুক্ত শিক্ষিকা সায়মা খাতুন লাকী মানববন্ধনের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি শুধুমাত্র রেহানার সাথে কথা বলেছি; তাকে লাঞ্চিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।”


ভুক্তভোগী রেহানা খাতুন বলেন, “ম্যানেজিং কমিটিতে সদস্যপদ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সায়মা আমার অফিসে এসে আমার সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং আমাকে লাঞ্চিত করেন।” 


দক্ষিণ ধুবনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাব্বি গোলাম সারোয়ার বলেন, “ম্যানেজিং কমিটিতে সদস্য পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে সায়মা আমার সামনেই রেহানাকে লাঞ্চিত করেন। এরপর তাকে হাসপাতালে নিতে হয়।”


এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।” 


এ ঘটনা শিক্ষামহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে, এবং এর মাধ্যমে শিক্ষকদের মধ্যকার পেশাগত আচরণ ও শৃঙ্খলার প্রশ্ন উঠেছে।